সংসদের ঐক্যতাই ভারতীয় সেনাবাহিনীর মনোবল চাঙ্গা করে তুলবে বলে মনে করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ।
বৃহস্পতিবার সংসদের বর্ষা অধিবেশনটির চতুর্থ দিনে করোনার বিপদকে সামনে রেখে সংসদে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এলএসি প্রসঙ্গে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং রাজ্যসভায় একটি বিবৃতি দিয়েছেন। রাজনাথ সিং চীনকে কড়া কথায় বলেছেন এলএসি নিয়ে টানাপোড়েন থাকলে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না। তিনি বলেছেন আমরা কোনওভাবেই দেশের প্রধানকে মাথা নত করতে দেব না বা কারও মাথা নত করতে চাই না। বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকে সরকার সীমান্তের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব পক্ষকে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিল যে এই মুহূর্তে সভায় বিতর্ক করা যাবে না।
সেনাবাহিনী চীনের সঙ্গে ডিল করতে সক্ষম। রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে আমরা লাদাখে একটি চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তবে একই সঙ্গে আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের দেশ এবং আমাদের সাহসী সেনারা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে। আমি এই হাউসকে অনুরোধ করছি যেন আমাদের সেনাবাহিনীর বীরত্ব এবং তাদের অদম্য সাহসের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন করেন। এই হাউস থেকে ঐকতা ও আস্থার বার্তাটি সারা দেশ ও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। এর ফলে চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে নজর রেখে অবিচল থাকা আমাদের সৈন্যদের মধ্যে নতুন মনোবল, শক্তি এবং উদ্দীপনা বজায় থাকবে।
রাজ্যসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই দিন বলেছেন যে শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়েছিল তবে চীন আনুষ্ঠানিক সীমানা স্বীকৃতি দেয় না। যদি সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত থাকে, তবে এর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে। চীনের কথা ও কর্মের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। চীন স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছিল। আমাদের বাহিনী চীনের পরিকল্পনা ব্যর্থ করেছে এবং তাদের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
রাজ্যসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন যে ১৫ ই জুন কর্নেল সন্তোষ বাবু তার ১৯ জন সাহসী সৈন্যকে নিয়ে ভারতের অখণ্ডতা রক্ষার লক্ষ্যে গালওয়ান উপত্যকায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়ানোর জন্য লাদাখ গিয়েছিলেন।
Post a Comment