লাদাখে চীনা সেনাদের সামনে প্রাচীরের মত দাড়িয়ে আছে তিব্বতীদের নিয়ে তৈরী স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স।
স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স (এসএফএফ) চীনের সাথে 1962 সালের যুদ্ধের পরে গঠিত এই বাহিনী। গোপনীয়তা রক্ষা করে আইবি, সিআইএ এবং আরএন্ডডাব্লু দ্বারা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল এই এসএফএফ বাহিনীকে।
এসএফএফ বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল এসএফএফ ভারতীয় সেনাবাহিনীর অংশ নয়। এটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের অধীনে পরিচালিত একটি গোপন সুরক্ষা সংস্থা অধিদফতরের অধীনে আসে ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার উচ্চতা দখল করতে 29 ও 30শে আগস্টের মধ্যবর্তী রাতে 'স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স' (এসএফএফ) বেইজিংয়ের একতরফাভাবে প্যাংং তসো হ্রদের দক্ষিণ তীরের দখলের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে।
এসএফএফ বাহিনীর সদর দফতর উত্তরাখন্ডে অবস্থিত । এবং কমপক্ষে পাঁচটি ব্যাটালিয়নকে বা 5,000 অভিজাত প্যারাটুপারকে পর্বতে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয় এখানে। এটি প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দা ব্যুরো, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং গবেষণা ও বিশ্লেষণ শাখা দ্বারা প্রশিক্ষিত ছিল। এটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের অধীনে পরিচালিত একটি গোপন সংস্থার অধিদপ্তর জেনারেল অফ সিকিউরিটি র (ডিজিএস) অধীনে আসে। ডিজিএস নিজেই গবেষণা এবং বিশ্লষণ উইংয়ের অংশ।
চীনের সঙ্গে 1962 র যুদ্ধের পর অবিলম্বে গঠিত হয় এসএফএফ। প্রথম দিক নিয়োগ হত শুধুমাত্র তিব্বতীদের। পরে তিব্বতী ও গোর্খাদেরকেও এসএফএফতে নিযুক্ত করা হয়।
এসএফএফ প্রথম ক্যাডারদের খামপাস বলা হয়। এসএফএফের ইউনিটগুলি বিকাশ ব্যাটালিয়ন হিসেবে পরিচিত। ভূমির সঙ্গে এদের প্রাকৃতিক সখ্যতা খুব বেশি, যা তাদের পরিচালনায় একটি বড় সুবিধা দেয়। এই ফোর্সের কার্যকলাপ সম্পর্কে গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়। চিফ পি আর ও রমেশ দাসের কথা অনুযায়ী এসএফএফ তিব্বতের সঙ্গে ভারতকে চীনা আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সীমান্ত এলাকায় নিজেদের বীরত্বের প্রমাণ দিয়ে এসেছে।যেসব তিব্বতীরা চীনের আগ্রাসন মনোভাবকে মেনে নিতে পারেন না তারাই প্রধানত স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সে নিযুক্ত হন বলে মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন চিফ পি আর ও রমেশ দাস।
Post a Comment