চীনা সামরিক বাহিনী সীমান্তে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের খেলা শুরু করেছে বলে মনে করেন প্রাক্তন ভারতীয় সেনা আধিকারিক রমেশ দাস ।
চীন পূর্ব লাদাখের এলএসিতে যে অঞ্চলগুলি দখল করেছে সেখান থেকে সরে যাবে বলে যদি কেউ মনে করেন সেটা ভুল ছাড়া কিছুই নয়। ভারতীয় সামরিক ও রাজনৈতিক থিঙ্ক ট্যাঙ্কের পক্ষে এই চিন্তার চেয়ে বিপজ্জনক আর কিছু হতে পারে না।চীনের পিএলএ মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে পেঙ্গং তসোর উত্তর তীরের ফিঙ্গার 4 থেকে পিছনে ফিরে যাচ্ছে না এবং সেনা বাহিনীকে দ্রুত মোতায়েনের লক্ষ্যে ফিঙ্গার 6 এবং ফিঙ্গার 8 এর মধ্যে একটি রাস্তা প্রশস্ত করা হচ্ছে এবং মহড়া চালাচ্ছে।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) পদসমূহের শক্তিবৃদ্ধি, সেনা স্থানান্তরকরণ এবং গত 30 দিনের অধিকৃত আকসাই চিনে ঘাটতি পয়েন্টগুলিতে সড়ক পরিকাঠামোর দ্রুত জোরদারকরণ - এগুলি পরিষ্কারভাবে ইঙ্গিত দেয় যে চীন 3488 কিমি লাইন ধরে দীর্ঘ পথ চলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে (এলএসি) ভারতের উপর চাপ বজায় রেখে এমনকি দু'দেশের নিষ্ক্রিয়তা এবং ডি-এসক্ল্যাশনের কথা বলার পর। সড়ক পরিকাঠামোর পয়েন্টগুলিতে এলএসি সম্পর্কে তাদের নিজ নিজ ধারণার বিষয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। চুশুলের ঠিক দক্ষিণে শেনডং থেকে স্পাংগুর গ্যাপের রাস্তায় ভারী-সরঞ্জাম পরিবহনের যান চলাচল লক্ষ্য করা গেছে এবং লাদাখের এলএসি বরাবর চীনারা নজরদারি সরঞ্জাম বসিয়েছে।
সম্প্রতি চীনা মিডিয়া হঠাৎ করে পূর্ব লাদাখের দীর্ঘ শীতে ভারতীয় প্রস্তুতির প্রশংসা করেছে। এর আগে চীন দীর্ঘদিন ধরে ভারতকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেছিল, পরামর্শ দিয়েছিল যে ভারতীয় সেনাবাহিনী হিমালয়ের উপ-শূন্য তাপমাত্রায় যুদ্ধ করতে অক্ষম। এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের খেলা হতে পারে। চাইনিজ কৌশলগুলি যাই হোক না কেন ভারত সিয়াচেন এবং উত্তর সিকিমের 18000 ফুট উচ্চতায় এই জাতীয় পরিস্থিতিতে এর আগেও লড়াই করে বেঁচে এসেছে। চীনের আগ্রাসন মনোভাব আজ স্পষ্ট।
Post a Comment