মারা গেলেন কর্ণেল নারন্দার 'বুল' কুমার।যিনি ভারতকে সিয়াচেন গ্লেসিয়ার জয় করতে সাহায্য করেছিলেন।
বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ রণক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত সিয়াচেন হিমবাহকে জয় করতে ভারতকে সহায়তা করা ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবীণ কর্নেল নারন্দার কুমার 87 বছর বয়সে মারা গেলেন। সাবে পরিচিত গ্লেসিয়ারে সমালোচনামূলক উচ্চতা অবলম্বন করার জন্য 1984 সালে অপারেশন মেঘদূত চালু করার আগে সিয়াচেনে পুনর্বিবেচনা অভিযান চালিয়েছিলেনতিনি।
ছবি: bharat-rakshak.com
কর্ণেল নারিন্দর কুমার 1984 সালে সিয়াচেন হিমবাহটি সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। অপরিকল্পিত ভূখণ্ড সম্পর্কে তার পুনঃনিরীক্ষণের পরে ভারতীয় সেনাবাহিনী 1984 সালের এপ্রিল মাসে 'অপারেশন মেঘদূত' চালু করে এবং সাল্টোরো রেঞ্জের প্রধান পাস দখল করে। তাঁর দলটি গুরুতর স্থল পরিস্থিতি ফিরিয়ে এনে এবং সেনাবাহিনীকে অভিযান পরিচালনার জন্য একসঙ্গে মানচিত্র স্থাপনে সহায়তা করেছিল।
1984 সালের এই পদক্ষেপটি একটি কৌশলগত কৌশল ছিল কারণ পাকিস্তান এই অঞ্চলটিকে 18000 ফুটেরও বেশি অংশে জায়গা করতে পারেনি। কর্মকর্তারা বলছেন যদি 'হাই অলিটিচিউড ওয়ারফেয়ার স্কুল'-এর কমান্ড্যান্ট হিসাবে সিয়াচেন গ্লেসিয়ার এবং সাল্টোরিও রেঞ্জের অভিযান না হতো তবে পাকিস্তান সিয়াচেন হিমবাহকে সংযুক্ত করে দিত।
কর্নেল নারন্দার কুমার তার পর্বতারোহণ অভিযানের জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁকে পদ্মশ্রী, অর্জুন পুরষ্কার এবং ম্যাকগ্রিগোর পদক দেওয়া হয়েছিল।
1953 সালে তিনি কুমারী রেজিমেন্টের দেরাদুনের ভারতীয় মিলিটারি একাডেমি থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেছিলেন। কর্নেল নারিন্দার কুমার প্রথম ভারতীয় যিনি মাউন্ট নন্দা দেবীতে আরোহণ করেছিলেন। তিনি 1965 সালে মাউন্ট এভারেস্ট, মাউন্ট ব্লাঙ্ক (আল্পসের সর্বোচ্চ চূড়া) এবং মাউন্ট কাংচঞ্চাও জয় করেছিলেন।
তাঁর পূর্বের অভিযানে হিমশব্দের কারণে চারটি পায়ের আঙুল হারানো সত্ত্বেও কর্নেল নারিন্দার কুমারের এই শিখর বিজয় প্রভাবিত হয়নি।
Post a Comment