2021 সালেই পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের বিমান ঘাঁটি হাসিমারায় উপস্থিত হবে যুদ্ধ বিমান রাফায়েল।
ভারতীয় বায়ুসেনার গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি হল উত্তরবঙ্গের হাসিমারা সামরিক বিমান ঘাঁটি। হাসিমারা বিমান ঘাঁটি 1962 সালের চীন-ভারত যুদ্ধের পরে তৈরি হয়। 1971 সালে বাংলাদেশের যুদ্ধের সময় এই হাসিমারা ঘাঁটিকে ব্যবহার করা হয়েছিল। এই বিমান ঘাঁটিতে মিগ -21 বিস এবং মিগ -2 M এমএল যুদ্ধবিমানের মতো বেশ কয়েকটি ফাইটার জেট রয়েছে ।
ভারতের উত্তর পূর্ব প্রতিবেশী রাষ্ট্র গুলিকে চীন চাপ দিচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে একজোট হতে। এই মুহূর্তে ভুটান নেপাল বাংলাদেশ ভারতের শত্রু পক্ষ না হলেও ভবিষ্যতে সাবধান হতেই হাসিমারাতে রাফায়েল যুদ্ধ বিমান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এমনই মনে করেন প্রাক্তন গ্রুপ ক্যাপ্টেন ও চিফ পি আর ও রমেশ দাস। তিনি মনে করেন ভবিষ্যতে যুদ্ধের সময় হাসিমারা সামরিক বিমান ঘাঁটি থেকে রাফায়েলকে ব্যবহার করে শত্রুদের ঘাঁটিগুলিকে ধংস করা যাবে। যে সব প্রতিবেশী রাষ্ট্র গুলি ভারতের বিরুদ্ধে একজোট হবে ভাবছে তাদের জন্য হাসিমারায় রাফায়েলের উপস্থিতি ভারতের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করবে বলে মনে করেন প্রাক্তন গ্রুপ ক্যাপ্টেন। 2021 সালের মাঝামাঝিতেই পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা সামরিক বিমান ঘাঁটিতে রাফায়েল চলে আসবে বলে জানা গেছে।
পূর্ব সীমান্তে, হাসিমারা দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন স্থাপনের বেস হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল।হাসিমারায় এর আগে একটি মিগ -27 স্কোয়াড্রন ছিল , তার পরিবর্তে রাফায়েল আসছে। হাসিমারা এয়ার ফোর্স স্টেশনের বর্তমানে কোনও স্কোয়াড্রন নেই।
হাসিমারা সামরিক বিমান ঘাঁটি পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলায় অবস্থিত । হাসিমারা কৌশলগতভাবে ভারত-ভুটান সীমান্তের নিকটে অবস্থিত। ভারতের সিকিম , ভুটান এবং তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ত্রি-সংযোগস্থলে অবস্থান করছে হাসিমারা সামরিক বিমান ঘাঁটি। এটি বাংলাদেশ থেকে নেপাল এবং ভুটান পর্যন্ত একটি সরু স্থল করিডোরের উপরে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করে। এই ঘাঁটি থেকে বায়ুসেনা সমগ্র বাংলাদেশ এবং তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কয়েকটি বড় চীনা বিমানবন্দরগুলির উপর নজরদারি করে থাকে।হাসিমারা সবসময় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ছিল না। এটা একটি ব্যক্তিগত এয়ার স্ট্রিপ হিসাবে শুরু হয়েছিল। 1962 সালের চীন ভারতের যুদ্ধের পরে এটিকে এয়ার ফোর্স স্টেশন হিসেবে স্থাপন করা হয়েছিল। 1963 সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে, বেসটিতে টুফানি বিমানের দুটি স্কোয়াড্রন ছিল। 1964 সালের জানুয়ারিতে, এমআই -4 হেলিকপ্টার সহ একটি হেলিকপ্টার ইউনিটও হাসিমারায় চলে আসে। 1970 দশকের মাঝামাঝি সময়ে এই ঘাঁটিটিকে হান্টার বিমানের তিনটি স্কোয়াড্রন হোস্টিং অফ হান্টার্স বলা হত।
ইতিমধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্ডিং এয়ার মার্শাল অমিত দেব 28শে জানুয়ারী উত্তরবঙ্গের হাসিমারা সামরিক বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। যুদ্ধ বিমান রাফাল আসার আগে হাসিমারা সামরিক বিমান ঘাঁটির পরিকাঠামোর কাজ কতটা এগিয়েছে তারই পরিদর্শন করেন তিনি। এয়ার মার্শাল অমিত দেব বাগডোগরা ও কার্শিয়াং এয়ারবেসও ঘুরে দেখেন। বায়ুসেনা ও স্থল সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকও করেন তিনি। বর্তমানে ভারতের সঙ্গে চীনের যুদ্ধের বাতাবরণ নেই। তবু ভারতীয় বায়ুসেনা সদা প্রস্তুত। কড়া নজরদারি রয়েছে তিব্বত ও অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকায়।
দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন উত্থাপন ও পরিচালনার তদারকি করার জন্য আম্বালায় রাফায়েল স্কোয়াড্রনের কমান্ডিং অফিসার গ্রুপ ক্যাপ্টেন হরকিরাত সিংহকে পূর্বাঞ্চলে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে । এই হরকিরাত সিংহ ফ্রান্স থেকে রাফায়েল ভারতে আসার সময় বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন।
Post a Comment