2021 শের জুলাইতে চীন তালিবানের বৈঠকে তালিবাকে পূর্ণ সমর্থন করে নিজেদের ধূর্ত বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছিল।
আমেরিকাসহ 60টি দেশ আফগানিস্তানকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে। কেবল চীন সমর্থন করেছ আফগানিস্তানকে। এর পেছনে চীনের দুরভিসন্ধী কাজ করছে তা স্পষ্ট। আফগান ইস্যুতে চীনের অবস্থান পরিষ্কার। চীন বরাবরই আফগানিস্তানে তালিবানদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব গ্রহণ করেছে। এবং আফগানিস্তানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পূর্ণ সমর্থন প্রদান করে নিজেদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চেয়েছে। যেটা ভারতের পক্ষে সুখবর নয়, কারণ ইতিমধ্যেই ভারত প্রায় কয়েক শ কোটি টাকা ব্যয় করেছে আফগানিস্তানের উপর।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন এনএসজি কর্তা দীপাঞ্জন চক্রবর্তী চীন ও তালিবানের 27শে জুলাই বৈঠক আশঙ্কার কথা বলেছেন। চীনের ও তালিবানের উচ্চ স্তরের নেতারা যেখানে উপস্থিত ছিলেন। এবং তালিবানি সরকারকে সমর্থন করে আফগানিস্তানে চীন নিজেদের ব্যাবসা বাড়াতে চাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি ভারতকে চাপে রাখার নতুন কৌশল ও গ্রহণ করে। যেটা ভারতের পক্ষে চিন্তার বিষয়। বর্তমানে ভারত বিরোধী সকল জঙ্গি সংগঠনগুলি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেখানে দাড়িয়ে ভারত সরকারের ভূমিকা ভীষণ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন এনএসজি কর্তা দীপাঞ্জন চক্রবর্তী।
এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আফগানিস্তানের জনগণের শান্তি ও জীবিকার অবস্থার উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। আফগানিস্তানে চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়েনবিন বলেন- আমরা আফগানিস্তানে আমাদের নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করছি। সেখানে আমাদের দূতাবাস স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। আফগানিস্তান থেকে বেশিরভাগ চীনা নাগরিক ইতিমধ্যে দেশে ফিরে এসেছেন। অবশিষ্ট নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়গুলো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ চীন ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও। এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের পদক্ষেপ কূটনৈতিক দিক দিয়ে চাপের সেরকমই মনে করেন সেনাকর্তা দীপাঞ্জন চক্রবর্তী।
Post a Comment