পোস্তদানার চাষ সঙ্গে হেরোইনের ব্যবসা তালিবাদের অনেকাংশেই অর্থের যোগান দেয়। সেই অর্থেই কেনে অস্ত্র মত প্রাক্তন সেনাকর্তার।
আমেরিকায় ফেলে আসা অস্ত্র তালিবানের সাহায্যে পাকিস্তান ও কাশ্মীরের উগ্রপন্থীদের হাতে পৌছাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন সেনাবাহিনীর কর্তা।
Photo: Reuters.com
কাবুলের দ্রুত তালেবান দখল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রেখেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন গ্রুপ ক্যাপ্টেন রমেশ দাস মনে করেন ওয়াশিংটনের অনুপস্থিতির ফলে মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক এবং ইরানের প্রভাব বাড়াবে। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের অনেক সরকার পরাশক্তি আমেরিকার প্রতি তাদের নীতি পুনর্বিবেচনা করবে। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উন্নত অস্ত্র, বিমান এবং সামরিক উপদেষ্টাদের ব্যাপক ভাবে নিযুক্ত করেছে। সেখানে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কি তা স্পষ্ট নয়। তবে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত গুটিয়ে নেওয়া এবং বিপুল অস্ত্রশস্ত্র আফগানে ফেলে চলে যাওয়া তাতে সন্ত্রাসীদের সুবিধার হয়েছে বলে মনে করছেন সেনা কর্তা রমেশ দাস।
মার্কিন সামরিক বাহিনী গত 20 বছরে আফগান সামরিক বাহিনীকে M-16 এবং M-4 অ্যাসল্ট রাইফেল সহ 6.5 মিলিয়নেরও বেশি ছোট অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এছাড়াও সাঁজোয়া ভেদন গোলাবারুদ বা ইস্পাত কোর বুলেট একটি বড় অস্ত্রাগার প্রদান করেছে। এছাড়াও মার্কিন সৈন্যরা আফগান সৈন্যদের বিপুল সংখ্যক বুলেটপ্রুফ সরঞ্জাম, নাইট ভিশন গগলস এবং যোগাযোগ সরঞ্জাম সরবরাহ করেছিল। কিন্তু তালেবানরা আফগান সেনাদের থেকে তা ছিনিয়ে নেয়। এর বাইরেও বিপুল সংখ্যক স্নাইপার রাইফেল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে।
যাইহোক সামরিক সূত্র জানিয়েছে কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সন্ত্রাস-বিরোধী গ্রিড সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত , তারা উন্নত অস্ত্র ও উন্নত যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত। নিয়ন্ত্রণরেখা এবং কাশ্মীর উপত্যকার অভ্যন্তরীণ এলাকায় ইতিমধ্যেই অনুপ্রবেশ বিরোধী গ্রিড রয়েছে।
প্রাক্তন সেনাকর্তা বলছেন তুরস্ক থেকে আমদানিকৃত পপি বীজ আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের তালিবান নিয়ন্ত্রিত ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত হচ্ছে যা স্থানীয়ভাবে পোস্ত দানা নামে পরিচিত। পপি ফুল থেকে আফিমও উৎপন্ন করে তারা এবং এটি হেরোইনের মতো মাদকের প্রধান উপাদান। আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের এনডব্লিউএফপি অঞ্চলে পোস্ত চাষ তালেবানদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যেখান থেকে প্রচুর অর্থ চোরাচালান কারবারীদের হাত হয়ে তালিবানদের কাছে এসে পৌছায়। সেই টাকায় অস্ত্রাগার বানিয়েছে তালিবান। ভবিষ্যতে হেরোইন থেকে অস্ত্র নতুন প্রজন্মের কাছে মৃত্যুর ফাঁদ। জিহাদের নামে আফগানিস্তান, কাশ্মীর ও পাকিস্তানের নতুন প্রজন্মের কাছে অন্ধকার ভবিষ্যত।
Post a Comment