কফিন বন্দি হয়ে পাহাড়ের কোলে ফিরে এলেন দার্জিলিঙের বীর সন্তান হাবিলদার সাতপাল রাই।
পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির বেংডুবিতে হাবিলদার সাতপাল রাইকে রবিবার শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। সম্প্রতি সাতপাল রাই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
রবিবার বিকেলে দিল্লি থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে বাগডোগরা বিমানবন্দরে মৃতদেহ আনা হয় শিলিগুড়িতে। এখানে বেংডুবিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
দার্জিলিং জেলার সাংসদ রাজু বিস্তা, এসএমসি প্রশাসক গৌতম দেব, দার্জিলিং বিধায়ক নীরজ জিম্বা সহ বিভিন্ন স্তরের লোকেরা সাতপাল রাইকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন। উপস্থিত ছিলেন সাতপল রাইয়ের স্ত্রী, ছেলে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এরপর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাকদার উদ্দেশ্যে শেষবারের মতো বেংডুবি ত্যাগ করেন সাতপাল রাইএর মরদেহ। সোমবার সেখানেই শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
দার্জিলিং পাহাড়ের তাকদাহ এলাকার বাসিন্দা, জেনারেল বিপিন রাওয়াতের 40 বছর বয়সী ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অফিসার হাবিলদার সাতপাল রাই বুধবার কুনুরে বিধ্বস্ত হওয়া দুর্ভাগ্যজনক হেলিকপ্টারে ওঠার আগে তার স্ত্রীর সঙ্গে দুবার কথা বলেছিলেন। মন্দিরা রাই বলেছেন
ওয়েলিংটনে পৌঁছানোর পর আমাকে আবার ফোন করবে বলেছিলেন। আমি যখন তাকে শেষবারের মতো দেখেছিলাম তখন দিওয়ালি ছিল। দেশে এসে তিনি অবসর নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন বলে জানান। আমি আমার স্বামীকে হারিয়েছি কিন্তু আমি তাকে নিয়ে গর্বিত। তিনি দেশের জন্য মারা গেছেন। বাবা বাহাদুর সিং রায়ও সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সাতপালের ভাই বিকল রাইও 5/11 গোর্খা রাইফেলসের সাথে কাজ করছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের জন্য একটি দীর্ঘ শোক বার্তায় জানিয়েছেন “মাত্র 40 বছর বয়সে প্রয়াত হাবিলদার সাতপাল রায়ের দুর্ভাগ্যজনক এবং আকস্মিক মৃত্যুর জন্য আমি আন্তরিকভাবে গভীর শোক প্রকাশ করছি। রাই তার জীবন উৎসর্গ করেছেন মাতৃভূমির জন্য। পাহাড়ের এই সাহসী সন্তানের মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলার বীর সন্তান সাতপল রায়ের আত্মত্যাগকে আমরা চিরকাল মনে রাখব। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া অন্য সমস্ত প্রতিরক্ষা কর্মীদের আত্মীয়দের প্রতিও আমি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।
Post a Comment