Header Ads

কলকাতার আইএসআই-এর থিওরেটিকাল স্ট্যাটিস্টিক্স ও ম্যাথামেটিক্সের অধ্যাপিকা শ্রীমতী নীনা গুপ্ত পেলেন নারী শক্তি পুরস্কার।

কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের থিওরেটিকাল স্ট্যাটিস্টিক্স অ্যান্ড ম্যাথামেটিক্স বিভাগের অধ্যাপিকা নীনা গুপ্ত নারী শক্তি পুরস্কার ২০২০-২১-এ ভূষিত হলেন । আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে নতুন দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দ । 

 
আজ সারা দেশের বিশিষ্ট এবং ব্যতিক্রমী ২৯ জন মহিলা পুরস্কার বিজেতাদের অন্যতম তিনি ।
 
অধ্যাপিকা নীনা গুপ্ত পূর্বে আইএসআই-এর ভিজিটিং সায়েন্টিস্ট এবং টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ(টিআইএফআর)-এর ভিজিটিং ফেলো ছিলেন । দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পুরস্কার শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারেও তিনি ভূষিত হয়েছিলেন  ম্যাথামেটিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগে, ২০১৯-এ । 
 
অধ্যাপিকা গুপ্তার মূল কাজের জগত হল কমিউটেটিভ অ্যালজেব্রা এবং অ্যাফাইন অ্যালজেব্রিক জিওমেট্রি । ২০০৬-এ বেথুন কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক হন। ২০০৮-এ ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আর্জন করেন । পরে ২০১১-য় পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন । বিষয় ছিল – কমিউটেটিভ অ্যালজেব্রা । অধ্যাপক অমর্ত্য কুমার দত্তের অধীনে তিনি গবেষণা চালিয়েছিলেন । তাঁর গবেষণা পত্রের নাম – ‘সাম রেসাল্টস অন লরেন্ট পলিনমিয়াল ফাইব্রেশনস অ্যান্ড কোয়াসি এ অ্যালজেব্রাস’ ।
 
জারিস্কি ক্যান্সেলেশন প্রবলেমের উত্তর খুঁজতে তিনি যে সমাধানের প্রস্তাব করেন সেজন্য ২০১৪-তে অধ্যাপিকা গুপ্তা পেয়েছিলেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমির ইয়ং সায়েন্টিস্ট পুরস্কার কনজেকচার বা ধারণা নিয়ে তাঁর কাজের জন্য টিআইএফআর প্রাক্তনীদের দেওয়া প্রথম সরস্বতী কৌশিক পদক পান ২০১৩ সালে। এছাড়াও তিনি ২০২১-এ ইয়ং ম্যাথামেটিশিয়ান ফ্রম ডেভেলপিং কান্ট্রিজ বা উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে থেকে তরুণ গণিতবিদ্  হিসেবে পান ডিএসটি-আইসিটিপি-আইএমইউ রামানুজন পুরস্কার । 

No comments

Powered by Blogger.