Header Ads

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্ব ও গৌরবময় ইতিহাস বর্ণনা করছে সুকনা ওয়ার মিউজিয়াম। দার্জিলিং যেতে চোখে পড়বে মিউজিয়ামটি।

শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে সুকনা মিলিটারি স্টেশনের  মধ্যে গড়ে উঠেছে ত্রিশক্তি কোরের যুদ্ধ মিউজিয়াম। যে মিউজিয়ামে তুলে ধরা হয়েছে  ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্ব ও গৌরবময় ইতিহাস। এবং ত্রিশক্তি কর্পসের সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগের কথা। 



সুকনা ওয়ার মিউজিয়ামটি পর্যটকদের জন্য একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ মিউজিয়ামটিতে এলে জানতে পারবেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর 33 কোরের দুঃসাহসিক যুদ্ধের ইতিহাস। 1962 সালে ভারত চীন যুদ্ধের সময় 33 কর্পসের সিগন্যাল রেজিমেন্ট আটক করেছিল একটি চীনা টেলিফোন। সেটিকে রাখা আছে এই মিউজিয়ামে। 
মিউজিয়ামটিকে চারটি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে  ক্রিস্টিসন, উমরাও, চোগিয়াল এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা। ক্রিস্টিসন ব্লকের নামকরণ করা হয়েছে প্রথম ব্রিটিশ জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এর নামে এবং এটি ত্রিশক্তি কর্পসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বর্ণনা করে।
উমরাও ব্লকের নামকরণ করা হয়েছে কর্পসের প্রথম ভারতীয় জিওসির নামানুসারে। এবং এখানে ত্রিশক্তি কর্পসের 20 মাউন্টেন ডিভিশন, সিকিমের ব্লাক ক্যাট বাহিনীর দুঃসাহসিক অপারেশন, 17 মাউন্টেন ডিভিশনের কাহিনী, কোহিমা ও ইম্ফলের যুদ্ধ, বার্মা ক্যাম্পেইন, 1971 সালের বাংলাদেশের যুদ্ধ, শান্তিকালীন অবদান আরও অনেক রোমাঞ্চকর যুদ্ধের ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে মিউজিয়ামটির দ্বিতীয় ব্লকে।

চোগিয়াল ব্লক সিকিম এর ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে। এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা ব্লক সিকিম ও উত্তর পূর্ব অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও প্রাণীকে চিত্রিত করেছে।
সুকনা ওয়ার মিউজিয়ামটির বহির ভাগে ত্রিশক্তি কর্পসের যুদ্ধের স্মৃতিসৌধ আছে। সশস্ত্র বাহিনীর দ্বারা ব্যবহৃত T-55 ট্যাঙ্ক, যুদ্ধ বিমান এবং বন্দুক প্রদর্শিত হয়েছে এখানে।


মিউজিয়ামটি জাতীয় গর্বের প্রতীক।  পাশাপাশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করবে সুকনার নির্মল সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ে যাবার পথে রোহিনীর আগে সুকনাতে অবস্থান করছে মিউজিয়ামটি। এখানেই 72 ফুট উচ্চ জাতীয় পতাকাটি দেখতে পাবেন। 

No comments

Powered by Blogger.